হুমায়ুন আহমেদ এর কিছু বই
এবার হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে কিছু লেখা যাক ।
তিনি স্বীকৃত , নন্দিত এবং শাওন কে বিয়ে করে কারো কারো কাছে নিন্দিত ।
তার ব্যাক্তিগত বিষয় ভেবে ভেবে মুড়ি খান সবাই , আর এইদিকে আমি কয়েকটা বই এর অনলাইন
ভার্সন দিচ্ছি ।
esnips কে এবং সংগ্রাহক দের কে আমার পক্ষ থেকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ
১ পারাপার
Click This Link
২ হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
Click This Link
৩ হিমুর একান্ত সাক্ষাতকার
Click This Link
৪ আশাবরি
Click This Link
৫ লীলাবতি
Click This Link
৬ হিমু
Click This Link
৭ হলুদ হিমু এবং কালো র্যাব
Click This Link
৮ হিমু রিমান্ড এ
Click This Link
৯ আবারো হিমু
Click This Link
১০ হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
Click This Link
১১ তোমাদের এই নগরে
Click This Link
১২ একজন হিমু ও কয়েকটি ঝি ঝি পোকা
Click This Link
১৩ কুটু মিয়া
Click This Link
১৪ তোমাকে
Click This Link
১৫ তিথির নীল তোয়ালে
Click This Link
১৬ দি এক্সোরসিস্ট
Click This Link
১৭ সবাই গেছে বনে
Click This Link
১৮ শঙ্খনীল কারাগার
Click This Link
১৯ সে আসে ধীরে
Click This Link
২০ সাজঘর
Click This Link
২১ রূপার পালংক
Click This Link
২২ রোদন ভরা এ বসন্ত
Click This Link
২৩ নি
Click This Link
২৪ নন্দিত নরকে
Click This Link
২৫ কুহক
Click This Link
২৬ কিছুক্ষণ
Click This Link
২৭ কিছু শৈশব
Click This Link
২৮ যদিও সন্ধ্যা
Click This Link
২৯ ইরিনা
Click This Link
৩০ হিমুর রুপালী রাত্রি
Click This Link
৩১ গোউরীপুর জংশন
Click This Link
৩২ একি কান্ড !
Click This Link
৩৩ এই শুভ্র এই !
Click This Link
৩৪ এই মেঘ রোউদ্র ছায়া
Click This Link
৩৫ দরজার ওপাশে
Click This Link
৩৬ চলে যায় বসন্তের দিন
Click This Link
৩৭ ছেলেটা
Click This Link
৩৮ চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
Click This Link
৩৯ ভয়
Click This Link
৪০ বাসর
Click This Link
৪১ অদ্ভুত সব গল্প
Click This Link
৪২ বহুব্রিহী
Click This Link
৪৩ কবি
Click This Link)
Click This Link)
Click This Link)
৪৪ অচিন পুর
Click This Link
৪৫ মধ্যান্য ১
Click This Link
৪৬ মধ্যান্য ২
Click This Link
৪৭ তুমি আমার ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে
Click This Link
৪৮ শুন্য
Click This Link
৪৯ অন্যভুবন
Click This Link
৫০ অনিশ
Click This Link
৫১ বোতল ভুত
Click This Link
৫২ বিপদ
Click This Link
৫৩ আজ চিত্রার বিয়ে
Click This Link
৫৪ বাঘবন্দী মিসির আলি
Click This Link
৫৫ অন্যদিন
Click This Link
৫৬ এলেবেলে ১
Click This Link
৫৭ তেঁতুল বনে জোৎস্না
Click This Link
এরপর যদি আরো বেশি চান তাহলে ক্লিক করুন এই লিঙ্ক এ
হুমায়ুন আহমেদ এর বাকী কয়েকটা বই
পার্টটাইম কাজ হিসাবে বেছে নিতে পারেন শেয়ার ব্যাবসা
আমাদের এ জনবহুল ১৫ কোটি মানুষের দেশে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা (বিও
একাউন্ট) খুবই সীমিত। আমাদের দেশের পুঁজিবাজার গবেষকরা বলছেন এ দেশের অন্তত এক কোটি
মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারা মনে করেন
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সক্ষম ৯০ শতাংশ মানুষ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পর্কহীন। আমাদের
দেশের মানুষের এবং পুঁজিবাজারে আসতে সক্ষম এমন কোম্পানি আছে যাদের বাজার সম্পর্কে
তেমন কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। সরকার কিংবা এসইসি মানুষকে আগ্রহী করতে পারছে না।
তারপরেও ধীরে ধীরে এ ছোট্ট পুঁজিবাজারটাতে বিনিয়োগ করতে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠছে।
তাদের এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ হয়তো একদিন পুঁজিবাজারকে আরো চাঙ্গা করে তুলবে।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে সমস্যার অন্ত নেই। সব সমস্যার মূলে অর্থনীতি।
বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সম্পদের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। অভাব অসীম কিন্তু
সম্পদ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ কিভাবে বণ্টন করতে হবে তাই অর্থনীতির মৌলিক সমস্যা।
অর্থনৈতিক সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে। বর্তমানে
বাংলাদেশের মানুষ এ অর্থনৈতিক টানাপড়েন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নানা পেশায় জড়িয়ে
পড়ছেন। কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা, কেউ চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা দুটো চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে যে ব্যবসাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তার নাম শেয়ার ব্যবসা।
স্কুল-কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে এমনকি ঘরের গৃহিণী পর্যন্ত এ শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে
জড়িয়ে পড়ছেন। এ ব্যবসায় আসতে হলে আইনের তেমন কোনো জটিলতা পোহাতে হয় না। ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জের কিছু নিয়ম মেনে চললে এ ব্যবসা করা যায়।
তার আগে জানতে হবে শেয়ার ব্যবসা কি? এক কথায় বলতে গেলে কোনো কোম্পানি মূলধন
সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতোগুলো পূর্ণ অংশে ভাগ করে
জনগণের কাছে বিক্রি করে। এরূপ প্রত্যেকটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে। হস্থন্তরযোগ্য
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের মালিকানা কেনাবেচা করাই হলো শেয়ার ব্যবসা।
কিভাবে শুরু করবেন
প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোনো ব্যক্তি যদি শেয়ার ব্যবসায় আসতে চান তো আসতে পারেন। তবে তার
জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে
সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে সিডিবিএল (সেন্ট্রাল
ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে।
এক কথায় বলতে গেলে আপনি যে কোনো ব্রোকার হাউসে নিয়ে এ বিও একাউন্ট খুলতে পারেন।
নির্দিষ্ট হাউসে খুলতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। এ বিও একাউন্ট খোলার পর একজন
বিনিয়োগকারী প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন।
বিও খুলতে যা লাগবে?
১.ব্যাংক স্টেটমেন্ট
২. ব্যাংক সার্টিফিকেট/ভোটার আইটি
৩. পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
৪. একজন নমিনি ছবিসহ
৫. টিন (যদি থাকে)
একজন বিনিয়োগকারী দুটির বেশি বিও একাউন্ট খুলতে পারবে না। সেজন্য তাকে সর্বনিম্ন
১০০ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দিতে হবে।
বিদেশে অবস্থানরত যে কোনো বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন। সেজন্য
বিনিয়োগকারীকে এনআরবি (নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশ) বিও একাউন্ট খুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে
তাকে পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি এবং (এফসি) ফরেন কারেন্সি, ব্যাংক একাউন্টের
সার্টিফিকেট লাগবে। এফসি হিসেবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় ডিমান্ড ড্রাফট করে অর্থ
জমা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ভেদে ড্রাফট ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার
আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর কোনো না কোনো কোম্পানি ইনিশিয়াল পাবলিক অফারের (আইপিও)
মাধ্যমে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো শেয়ার
বাজারে ছাড়ে তাকে আমরা প্রাইমারি শেয়ার বলি। প্রাইমারি শেয়ার পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট
ফর্মে কোম্পানির কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। কোম্পানির
নির্দিষ্ট শেয়ারের বিপরীতে আবেদনপত্র বেশি হলে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
একজন শেয়ার হোল্ডার স্বতন্ত্রভাবে একটি এবং যৌথ বিও একাউন্টের মাধ্যমে দুটি
আবেদনপত্র জমা দিতে পারে। আবেদনকারী যদি লটারির মাধ্যমে শেয়ার না পায় তবে
আবেদনকারীর টাকা আবার ফেরত চলে আসে। প্রাথমিক শেয়ার বরাদ্দের পর ওই শেয়ার যখন
ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেনাবেচা হয় তখন সেটা সেকেন্ডারি মার্কেট চলে আসে আর সেই শেয়ার
সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য হয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগকারী তার ইচ্ছা মাফিক
শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। সেকেন্ডারি মার্কেটে কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করলে সঙ্গে
সঙ্গে শেয়ার বিক্রি করতে পারে না। বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার বিভিন্ন সময় বিক্রি করতে
হয়। যেমন এ ক্যাটাগরির শেয়ার চারদিন পর ম্যাচিউড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করা যায়।
অন্যদিকে দুই ক্যাটাগরির শেয়ার সাত দিন পর বিক্রি করা যায়।
পুঁজি ও ঝুঁকি কেমন
বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বর্তমানে দুটা ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে। প্রাইমারি
(আইপিও) এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি শেয়ারের জন্য আবেদন করতে কয়েক হাজার টাকার
প্রয়োজন হয়। প্রাথমিক শেয়ারের ক্ষেত্রে ঝুঁকির তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সেকেন্ডারি মার্কেটে লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি লোকসানের ঝুঁকিও বেশি আছে। না
বুঝে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করলে পুঁজি রাতারাতি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই
কোনো রকম গুজবে কান না দিয়ে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করাই উত্তম। পেশাদার সেকেন্ডারি
ব্যবসায়ী হতে হলে কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
সফল হওয়ার কিছু টিপস
১. শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূল ভিত্তি দেখে কেনা।
২. যে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বেশি এবং নেট অ্যাসেট ভ্যালু বেশি। সেই কোম্পানির
শেয়ার ভালো।
৩. কোম্পানির ব্যালেন্স সিট সম্পর্কে ধারণা রাখা।
৪. কোম্পানির পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা।
৫. দেশি-বিদেশি শেয়ার মার্কেটের ওপর জ্ঞান রাখা এবং
৬. যে কোনো ধরনের গুজব এড়িয়ে চলা।
বাংলা পত্রিকাপিডিয়া
বাংলাদেশ
অন্যন্যা
http://www.my-anannya.com/
আমাদের সময়
http://www.amadershomoy.com/
আমার দেশ
http://amardeshbd.com/
ইত্তেফাক http://ittefaq.com/
ইনকিলাব
http://www.dailyinqilab.com/
একতা
http://www.cpbdhaka.org/admin/Ekota/
কালি ও কলম
http://www.kaliokalam.com/
জনকন্ঠ
http://www.dailyjanakantha.com/
তারকালোক
Click
This Link
নিসর্গ
http://www.nature.com.bd/
প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/
বিডি নিউজ ২৪
http://www.bdnews24.com/bangla/home.php
ভোরের কাগজ
http://bhorerkagoj.net/
ভ্যানগার্ড
http://www.vanguardonline.info/
মানবজমিন
http://www.manabzamin.net/
মেঘবার্তা
http://www.meghbarta.org/
যায়যায় দিন
http://www.jaijaidin.com/
যুগান্তর http://jugantor.com/
রহস্য পত্রিকা
Click
This Link
সমকাল
http://www.shamokal.com/
সরগম
http://homeviewbangladesh.com/sargam/010707/
সাপ্তাহিক ২০০০
http://www.shaptahik2000.com/
পশ্চিম বাংলা
অবসর http://www.abasar.net/
আকাশ দীপ
http://www.viswayan.com/akash/akashdeep.asp
আকাশদীয়া
http://www.akashdiya.com/
আজকাল
http://www.aajkaal.net/
আনন্দবাজার
http://www.anandabazar.com/
উত্তরবঙ্গ সংবাদ
http://www.uttarbangasambad.com/
কৌরব http://camp.kaurab.com/
গণশক্তি
http://www.ganashakti.com/
গুরুচন্ডালী
http://www.guruchandali.com/
চতূষ্পর্ণী
http://www.bartamanpatrika.com/chatushparni/
তিলোত্তমা
http://www.tilottamabangla.com/
নোতুন পৃথিবী
http://www.notunprithivi.net/
বইপাড়া ডট কম
http://www.boipara.com/
বর্তমান
http://www.bartamanpatrika.com/
সংবাদ
http://www.dainiksambad.com/
সংবাদ প্রতিদিন
http://www.sangbadpratidin.in/
সুপ্রভাত
http://www.suprovat.com/
সৃষ্টিসন্ধান
http://www.srishtisandhan.com/
সোনাঝুরি
Click This Link
বাংলার বাইরে
অনির্বাণ
http://www.anirban.com/
অভিবাস
http://japanbangladesh.com/
উৎসব
http://www.utsabpatrika.com/
এখন সময়
http://www.akhonsamoy.com/
একটি বাংলাদেশ
http://www.aktibangladesh.com/
পত্রিকা
http://www.potrika.co.uk/home.htm
পরবাস
http://www.parabaas.com/
বাংলাদেশ
http://www.weeklybangladesh.com/
বাংলা পেপার
http://www.banglapaper.net/
বাংলা পোস্ট
http://www.banglapost.co.uk/
পড়শী http://www.porshi.com/
প্রিয়বাংলা
http://www.priyobangla.com/
মাধুকরী
http://www.maadhukari.com/
মানচিত্র
http://www.manchitro.net/
শব্দগুচ্ছ
http://members.aol.com/shabdaweb/
সুরমা
http://www.surma-online.com/
সৃষ্টি http://sristi.tk/
স্বাপ্নিক http://shapnik.tk/
মরুপলাশ
http://www.marupalash.net/
জ্ঞানপিপাসুদের জন্য কিছু ফ্রি ই-বুক সাইট
আপনি হয়ত কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। বিদেশি পাঠ্যবইগুলোর অরিজিনাল কপি
সবার কেনার সামর্থ থাকে না। নীলক্ষেত থেকে আপনি কিনে নিচ্ছেন ফটোকপি প্রিন্ট। দুধের
স্বাদ ঘোলে মেটালেন ঠিকই, কিন্তু তাতে স্বাদ মিলল না। চলে আসুন কিছু ফ্রি ইন্টারনেট
সাইটে। এই সব সাইট গুলো থেকে pdf ফরমেটে বা টেক্সট ফরমেটে বইগুলো নামিয়ে নিন
ইচ্ছামত। পিডিএফ ফরমেটে বই পড়ার জন্য আপনার লাগবে foxit reader or adobe reader.
আপনার কাছে এই দুটো সফটওয়্যার এর কোনটাই না থাকলে
http://www.download.com এ
গিয়ে সার্চ দিয়ে সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন। এবার চলে আসি সাইটগুলোতে।
১. http://www.gigapedia.org
সম্ভবত ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় বুক-শেয়ারিং সাইট। যত ধরণের পাঠ্যবই দরকার, তার
বেশিরভাগই আপনি পেয়ে যাবেন এই সাইটে। এজন্য আপনাকে মাত্র একবার ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন
করতে হবে। এরপর সার্চ করে আপনার পছন্দমত বইটি ডাউনলোড করে ফেলুন। শুধু পাঠ্যবই নয়,
বিভিন্ন গল্পের বই, রিসার্চ বই, ভাষা শিক্ষার বই, কমিকস-সবই আপনি পাবেন। এখানে একটা
ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন, rapidshare এর লিংক এ না গিয়ে mihd.net এর লিংক থেকে
ডাউনলোড করবেন। কেন, সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
২. http://www.smso.net
এটি শুধুমাত্র মেডিকেল স্টুডেন্ট এবং ডাক্তারদের জন্য। এখানেও একবার ফ্রি
রেজিষ্ট্রেশন লাগবে। বই, টিউটোরিয়াল নোট, অভিধান, এটলাস-সবই পাওয়া যাবে।
৩. http://www.gutenberg.org
ক্লাসিক বই ডাউনলোডের সবচেয়ে ভাল সাইট। এখানে ইচ্ছা করলে অফলাইন ক্যাটালগ ডাউনলোড
করে নিতে পারেন। সেখান থেকে পছন্দমত বই বেছে নিয়ে ডাউনলোড করে ফেলুন। এখানে কোন
রেজিষ্ট্রেশন লাগবে না।
এছাড়াও নিচের সাইটগুলোতে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন-
http://www.bibliomania.com
http://www.planetpdf.com
http://www.murchona.com
http://www.poemhunter.com
কেন কিনবেন বই যখন ফ্রী পাচ্ছেন?
অনলাইনে প্রথম ই-বুক ফেয়ারের কথা খেয়াল আছে কি আপনার? গত ২০০৬ সালের জুলাই চার
তারিখ থেকে শুরু করে এক মাসব্যাপী চলেছিল এই অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন বই মেলা।
কম্পিউটারে সংগ্রহ করা, পড়া ও ব্যবহার করা যায় এমন বইকে বলা হয় ই-বুক। প্রজেক্ট
গুটেনবার্গ এবং ওয়ার্ল্ড ই-বুক লাইব্রেরির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর
প্রায় তিন লরেও বেশী ই-বুক সেখানে প্রদর্শিত হয়। এর সবগুলোই ছিল পাঠকদের জন্য একদম
ফৃ।
ই-বুকের পোকা যারা তাদের জন্য ঐ মেলাটিই শেষ সুযোগ ছিল এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই।
সত্যিই, এই যুগেও যদি আপনি বই কেনার পোকা হয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই বোঝা উচিত
অনলাইনে ফ্রী শব্দটি ফ্রীডম বা স্বাধীনতার ব্যাপক মতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। এক দশক
ধরে হয়তো আপনি সংগ্রহ করেছেন প্রায় হাজার খানেক বই ও ম্যাগাজিন। আর মাত্র দুই
সপ্তাহে কেবল ই-বুক সংগ্রহ করতে শুরু করার পর দেখা গেল আপনার বইয়ের সংগ্রহশালার
সংখ্যা অতিক্রম করে গেছে অনেকখানি, গুণতে গিয়ে হয়তো দুই-তিন হাজার হওয়ার পর বই
গোনাগুনির কাজটা আপনি থামিয়ে দেবেন।
প্রায় বছর তিনেক আগেকার কথা যখন আমি ইন্টারনেটের ফ্রী বইয়ের নদীতে ডুব মেরে তুলে
আনতাম পছন্দের এবং মজার অনেক ই-বুক আর ভরাতাম আমার হার্ডডিস্ক। আজকে সত্যিই অবাক হই
যখন দেখি অনেকেই এটা সম্পর্কে জানেননা এবং এবং কষ্ট পাই যখন কেউ কেউ ভাবেন এই ফ্রী
বইগুলো (কিম্বা ই-বুকগুলো) নামকরা লেখকদের বই নয়। আসলে আপনি জেনে বেশ আশ্চর্য্যই
হবেন হয়তো যে অনেক নামকরা লেখকদের বিখ্যাত সব সাহিত্য কর্মই আজকাল সাইবার জগতে ফ্রী
বিকোচ্ছে। নাম করতে গেলে এসব লেখকদের মধ্যে রয়েছেন সেক্সপীয়ার, কাফকা, ডিকেন্স,
দস্তয়ভস্কি, জেমস জয়েস, মার্ক টোয়েন, জ্যক লন্ডন, ও হেনরী আর লেখিকাদের মধ্যে
রয়েছেন জেন অস্টেন, এমিলি ডিকসন, জর্জ ইলিয়ট, এ্যনি ব্রন্টি, শার্লট ব্রনটি, অগাথা
কৃস্টি, ভার্জিনিয়া উলফ এমনি আরো অনেকই। এমনকি ইচ্ছে করলেই আপনি সংগ্রহ করতে পারেন
কুরআন, মহাভারত, রামায়ণ থেকে শুরু করে হোমারের ইলিয়াড এবং ওডিসি, পঞ্চতন্ত্র কিম্বা
ঈশপের গল্পগুচ্ছ, প্লেটোর দর্শন কিম্বা বাৎসায়নের কামসূত্র।
তাই পছন্দের বইগুলো আজ থেকেই কালেকশন করা শুরু করুন। ডাউনলোড করা ফাইলগুলো অনেক সময়
জিপ করা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে আনজিপ করে নিতে ভুলবেননা। অনলাইন থেকে পাওয়া বইগুলো
সাধারনত টেক্সট, এইচটিএমএল এবং পিডিএফ ফরমেটে পাওয়া যায়। টেক্সট ফাইল দেখার জন্য
নোটপ্যাড অথবা ওয়ার্ড প্যাড ব্যবহৃত হয় যা উইন্ডোজের সব অপারেটিং সিস্টেমেই ইন্সটল
করা থাকে। কিন্তু পিডিএফ ফরমেটের বই পড়তে হলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে অ্যাডবি
রিডার বা অ্যক্রোবেট রিডার ইন্সটল করা থাকতে হবে। আপনার সফটওয়্যার কালেকশনে এটা
থাকার কথা। না থাকলে ইন্টারনেট থেকে ফ্রী ডাউনলোড করে নিতে পারেন অ্যডবি রীডার বা
অ্যক্রোবেট রীডার এর যেকোন একটি ভারশন। অ্যডবি রীডার ফ্রী- ডাউনলোড করতে ব্রাউজ
করুন http://www.download.com
এর Software সেকশান।
আপনার কম্পিউটারে ই-বুকের সংগ্রহশালা আপনি দু’ভাবে তৈরী করতে পারেন। প্রথমত বিভিন্ন
সার্চইঞ্জিন (যেমন গুগল) দিয়ে সার্চ করে। অথবা এই ব্লগে দেয়া ওয়েবসাইট গুলোর
অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে শুরুতেই ঢুঁ মারুন -
http://www.gutenberg.org
এর সাইটে।
প্রজেক্ট গুটেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল হার্ট বলেছেন তারা আশা করছেন ২০০৯ সালের
মাসব্যপী ই-বই মেলায় এক মিলিয়ন বই প্রদর্শিত করতে পারবেন। গুটেনবার্গকে বলা যায় ফ্রী
বইয়ের দাদু। ২৫টিরও বেশী ভাষায় প্রায় ১৯,০০০ বই এই সাইট থেকে পাবেন আপনি। এর মধ্যে
রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফেমাস ফিকশন, ছোটদের গল্প, ছড়া ও উপন্যাস, ছোট ও বড় গল্পের সংকলন,
ধর্মীয় বই, রাজনীতি, সমাজ ও অর্থণীতির বই, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণামূলক বই,
বিভিনড়ব ধরণের রেফারেন্স, এনসাইকোপেডিয়া এবং ডিকশনারী। এই সাইটটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো
এর বিন্যাস বেশ সাদামাটা। স্বেচ্ছাকর্মী ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত ডোনেশনের
সাহায্যেই চলে এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি। প্রজেক্টের স্বেচ্ছাকর্মীরা কপিরাইট উঠে
যাওয়া বইগুলোকে টুকে নিয়ে রুপান্তরিত করে ই-টেক্সেটে। ভলান্টিয়ারদের সাহায্যের উপর
ভিত্তি করেই আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ প্রায় এক মিলিয়ন ফ্রী বই পাঠকেদের জন্য তৈরী করতে
পারবে বলে আশা করছে গুটেনবার্গ। প্রতিমাসে এই চমৎকার সাইটটি থেকে দুই মিলিয়নেরও বেশী
বই ডাউনলোড করা হয়। আপনিও হতে পারেন তাদেরই একজন।
-------
Click This Link
এই ইলেকট্রনিক টেক্সট সেন্টারটি মূলত ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া লাইব্রেরীর।
পাঠকদের জন্য আইনগত ভাবে বাধাহীন বইগুলো খুব সহজেই পাওয়া যাবে এখান থেকে। ইংরেজি
সাহিত্যের উপর পড়াশুনা করছেন এবং বিশদভাবে ভাবে পড়তে আগ্রহী তাদের বেশ কাজে দেবে
সাইটটি। এই সাইটির বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে আপনি পাবেন ইংরেজি সাহিত্যের হাজার হাজার
রিসোর্স। ইরেজি নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, ফিকশন ডাটাবেজ ছাড়াও এতে রয়েছে শেক্সপীয়ারের
রচনাবলী, অক্সফোর্ডের ডিকশনারী, বাইবেল, আফ্রিকান-আমেরিকান সাহিত্য এবং দর্শনের উপর
লেখা অনেক বই যার সংখ্যা প্রায় সত্তর হাজারের মত।
-------
http://www.planetpdf.com
প্যানেটপিডিএফ এর হোমপেজ থেকে কিক করুন এর ফ্রী ই-বুক সেকশনে। এই চমৎকার সাইটটিতে
এডগার অ্যলান পো, লিও তলস্তয়ের ওয়ার এন্ড পীস, এমিলি ব্রনটির ওয়েদারিং হাইটস, থমাস
মুরের ইউটোপিয়া, চার্লস ডিকেন্সের গ্রেট এক্সপেক্টেশন্স, জুল ভার্নের অ্যারাউন্ড দা
ওয়ার্ল্ড ইন এইটটি ডেজ, ফিওদর দস্তয়ভস্কির ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, জেমস জয়েসের
ইউলিসিস ছাড়াও ছোটদের জন্য ঈশপের গল্প, হ্যন্স কৃশ্চিয়ান এন্ডারসনের রূপকথা, রবার্ট
লুই স্টিভেনসনের ট্রেজার আইল্যন্ড, স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের দা লস্ট ওয়ার্ল্ড সহ
এমন অসংখ্য বিখ্যাত কাসিক পাবেন। এই সাইটটির বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার সব বই-ই পিডিএফ
ফরমেটের। ফলে পড়তে ও সংগ্রহ করতে পারবেন অনায়াসেই।
-------
http://www.bibliomania.com
বাইব্লিওম্যানিয়ায় রয়েছে রিড, স্টাডি, রিসার্চ, শপ এবং সার্চ সেকশন। এখানকার রিড
সেকশন থেকে খুব সহজেই আপনি আপনার পছন্দের লেখকের বিভিনড়ব আর্টিকেল, নাটক, ফিকশন,
ছোট গল্প কিম্বা কাবিতা সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সাইটি থেকে অবশ্য পুরো বই একাবারে
ডাউনলোড করতে পারবেননা। বেশীরভাগ বই বিভিন্ন চ্যপ্টারে ভাগ করা আছে। সেই চ্যপ্টার
অনুযায়ী পেজ সেভ করতে হবে আপনাকে সংগ্রহের জন্য। ওয়ার্ল্ড ফেমাস লেখকদেও কমবেশী সব
লেখাই পাবেন এই চমৎকার সাইটিতে।
-------
http://www.bartleby.com
বেশ প্রশংসিত এবং সাহিত্যের ছাত্র, লেখক, সাংবাদিক এবং এজাতীয় যে কারো জন্য মাস্ট
ভিজিট সাইট যেখানে পাবেন বিভিন্ন ইংলিশ রেফারেন্স বুক, এনসাইকোপিডিয়া, ডিকশনারী
ছাড়াও সাহিত্যের বিশাল সম্ভার। রেফারেন্স হিসাবে অনলাইনে পড়ার কথা বললেও এর পাশপাশি
ফৃ বইও পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে।
-------
http://www.free-ebooks.net/
এই সাইটটিকে আধুনিক এবং ততটা বিখ্যাত নয় এমন লেখকদের প্লাটফর্ম বলা যেতে পারে। এখানে
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লেখকরা তাদের কাজগুলোকে তুলে ধরেন পাঠকদের সামনে।
চমৎকার এবং মজার কিছু লেখা এখান থেকে সহজেই পেয়ে যাবেন আপনি। নিয়মিত ক্যটাগরী ছাড়াও
এখানে আপনি পাবেন খেলাধুলা, স্ব্যাস্থ্য, ট্রাভেলিং, ইতিহাস, ফ্যাশন, কম্পিউটার ও
ইন্টারনেট, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের উপর চমৎকার কিছু বই।
-------
Click This Link
এদের দাবী অনুযায়ী প্রায় আড়াই হাজারের মতো ফৃ বই পাবেন আপনি এখানে।
-------
http://www.ebook.com.au/freebooks.htm
এই সাইটিতে ফ্রী ই-বুক পাবার অনেক লিংক প্রদর্শিত হয়েছে। এই বইগুলো ফৃ কারণ এগুলোর
স্বত্ত পাঠকদের কাছে চলে গেছে নয়তো অথবা কপিরাইট মালিকানাহীন লেখা কিম্বা
কপিরাইটহীন অথবা লেখক অনেক আগে মারা গেছেন। আর এর অর্থ হলে বইগুলো যত ইচ্ছা বিলানো
সম্ভব। এমনকি এগুলোর পৃন্ট আউট নিতে ও পড়তেও পারবে।
-------
http://www.manybooks.net
এই সাইটটিতে পাবেন ১৬ হাজারেরও বেশী ই-বুক, সবই ফ্রী। মোস্ট পপুলার, রিকমেন্ডেশন্স
অথবা ভিজিটরদের রিসেন্ট রিভিউ লিংক থেকে ব্রাউজ করতে পারেন। এর স্পেশাল কালেকশন্স
থেকেও ঘুরে আসুন, আপনার জন্য মাজার কিছু বই পেয়ে যেতেও পারেন।
-------
http://www.web-books.com/
ফিকশন ও ননফিকশন এই দুই সেকশনে ভাগ করা। ফিকশন বিভাগে আছে হরর, রহস্য, রোমান্স,
সাইন্সফিকশন, ফ্যন্টাসি, নাটক, ছোট গল্প ইত্যাদি। ননফিকশনাল আইটেম বায়োগ্রাফি,
ইতিহাস, ভাষা, দর্শন, কবিতা, ধর্ম, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়।
-------
http://www.baen.com/library/titles.htm
বেন ফৃ লাইব্রেরী সম্প্রতি অনেকগুলো বই ছেড়েছে ইলেকট্রনিক ফরমেটে। কোন শর্ত বা দায়
ছাড়াই যে কেউ এখান থেকে ইচ্ছে মত পড়তে পারবে তাদের পছন্দের বই।
-------
শেষ কথা
শেষ করার আগে একটি কথা, দীর্ঘ সময় নিয়ে সংগ্রহ করা বইগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
সম্ভব হলে আপনার কালেকশনের একটি ব্যাকআপ রাখুন। সিডিতে রাইট করে রাখাটাই সবচেয়ে
সুবিধাজনক। একটা সিডিতে ইচ্ছে করলে অনায়াসেই হাজারখানেক বই আঁটাতে পারবেন। তো এরপর
কাসিক কোন বই পড়ার শখ হলে হুট করেই বুক স্টোরে ঢুকে যাবেননা যেন। খেয়াল রাখবেন, যে
বইটা আপনি খুঁজছেন তা হযতো স্রেফ কয়েকটা মাউস কিকের ব্যাবধানেই রয়েছে। ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন। উপভোগ করুন অনলাইনে ফ্রী বইয়ের আনন্দময় ভুবন।
রোমান্টিকতায় মেতে ওঠার ৬০ টিপস
আজকের ব্যস্ত এ জীবনে সময়ের টানাপড়েনে দু'দন্ড- অবসর মেলা ভার। আর এ কারণেই
দম্পতি কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা জুটিরা যখনই অবসর পান একসঙ্গে সময় কাটানোটাই তাদের
কাছে মুখ্য হয়ে দাড়ায়। কিন্তু রোমান্টিকতায় ভরপুর সময় কাটানোর উপায় কি? একঘেয়ে হয়ে
গেছে নিত্যকার কাজকর্ম? ভিন্ন কিছুর জন্য আকুলি-বিকুলি করছে মন কিন্তু আইডিয়া আসছে
না কি করবেন?
বছর জুড়ে রোমান্টিক সময় কাটানোর জন্য নিচের ৬০টি আইডিয়া দেয়া হলো। সময় ও সঙ্গতি
অনুযায়ী এগুলোর যে কোনোটি থেকে বেছে নিন অথবা তৈরি করুন নতুন কোনো আইডিয়া আপনাদের
দুজনের জন্য।
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে...
১. ড্রয়িং রুম, বুক শেলফ, ওয়ার্ডরোব কিংবা গারাজ সাফসুতরো করতে পারেন। এসব কাজ করা
কোনো ব্যাপার নয় যদি দুজন একসঙ্গে করা যায়।
২. এক্সারসাইজ করতে পারেন। চলে যান কোনো সুইমিং কাবে সাতার কাটতে কিংবা স্রেফ
বৃষ্টিতে হাটাহাটি করেও উপভোগ করতে পারেন সময়।
৩. ম্যারাথন মুভি দেখতে বসে যান। আশপাশের ভিডিও শপ থেকে একগাদা মুভি আনুন, সেই সঙ্গে
খাবার-দাবার। সারাটা দিন মুভি ক্রিটিক হিসেবেই কাটিয়ে দিন।
৪. কোনো একটা আর্ট গ্যালারি ঘুরে আসুন। আপনার এলাকায় বা এর আশপাশে হচ্ছে এমন কোনো
একজিবিশন ঘুরে দেখুন দুজন।
৫. সময়কে পিছিয়ে নিন, ঘুরে আসুন মিউজিয়ামে। অনেক প্রত্নতাত্তিক জায়গা আছে যেগুলো
কেবল দর্শনীয় হিসেবেই খ্যাত নয় বরং সেখানে ঘুরে কিছু শেখাও সম্ভব।
৬. দুজনের স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটাতে পারেন। অনলাইনে মেমোরি টেস্টের বিভিন্ন
প্রোগ্রাম থাকে। দিন জুড়ে দুজন দুজনার মনে রাখার ক্ষমতা যাচাই করতে পারেন।
৭. নিজেদের আবিষ্কার করুন। বইয়ের দোকান কিংবা ইন্টারনেটে আজকাল অনেক ধরনের পারসোনাল
প্রোফাইল টুলস পাওয়া যায় যেগুলো আপনাদের ব্যক্তিত্যের ধরন, আপনাদের আইকিউ অথবা
আপনাদের রিলেশনশিপ স্টাইল খুজে পেতে সাহায্য করবে।
৮. কিছু তৈরি করতে পারেন। হতে পারে একটা টি-টেবিল, কোনো শেলফ, পটারি ডিশ, ফাওয়ার
ভাস, চেহারার ভাস্কর্য, ক্যান্ডল ইত্যাদি। ক্রাফট শপে গেলে এ ধরনের শত শত আইডিয়া
পাবেন।
৯. ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা দেখে আসতে পারেন, যদিও খেলাধুলা খুব একটা ধাতে সয় না
আপনার তবু পরিবেশের একটা প্রভাব তো আছে। যাওয়ার আগে পত্রিকার পাতায় ফিকশ্চার লিস্ট
দেখে নিন।
১০. সন্ধ্যাটা নিজেদের ব্যাপক পছন্দের আইটেম দিয়ে সাজান। টিভি প্রোগ্রামের তালিকায়
চোখ বুলিয়ে নিন আর বিনোদনে ভরপুর একটা রাত তৈরি করুন।
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে ...?
১১. দুজন মিলে হাটতে বেরুতে পারেন যে কোনো জায়গায়।
১২. হাইকিংয়ে বের হতে পারেন। হাইকিং হলো পায়ে হেটে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ। আশপাশে কোনো
পাহাড়ি পথ থাকলে দুজনে হাটা ধরুন, দেখুন কান্ত হয়ে কে আগে বসে পড়ে।
১৩. অভ্যাস থাকলে সাইকেল রাইডিংয়েও বেরিয়ে পড়তে পারেন দুজনে। হাটার মতো সাইকেলও
এনার্জিটিক ও চমৎকার। হাটা বা সাইকেল দুই ক্ষেত্রেই মানসিক চাঙ্গা ভাবের সঙ্গে সঙ্গে
আপনার স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে।
১৪. বোট ভাড়া করতে পারেন। নৌকা বাইতে বাইতে নদী বা লেকের এলোমেলো হাওয়ায় চুল উড়িয়ে
একটা রোমান্টিক নৌকা ভ্রমণ সেরে ফেলতে পারেন।
১৫. পার্কে ঘুরে আসুন। দোলনায় দোল খেয়ে সময় কাটাতে পারেন বা খেলতে পারেন টেনিস।
১৬. রিকশা করে ঘুরতে অনেকেরই পছন্দ। লম্বা খোলা রাস্তায় ঘণ্টা চুক্তিতে রিকশা ভাড়া
করে বেরিয়ে পড়–ন আজানার উদ্দেশে।
১৭. গ্রামের বাড়িতে বেড়িয়ে আসুন। আপনার নিজের মায়ার বাধনে বাধা নিড়ে ফিরে কিছুটা
প্রেরণা নিয়ে আসুন নিজের মধ্যে।
১৮. নিজেদের পশুসুলভ প্রবৃত্তিকে মেনে নিয়েই ঘুরে আসুন চিড়িয়াখানা বা কোনো বড় ফার্ম
হাউসে। পার্কের এদিক ওদিক ঘোরার সময় রিলাক্স থাকুন। আর মাকড়শা কিংবা সাপকে যদি আপনি
অছন্দ করেন তবে বানরের খাচার কাছে গিয়েও কাটাতে পারেন সময়।
১৯. পিকনিকের কথা ভুলবেন না। ওপরের আইডিয়াগুলোকে আরো আনন্দদায়ক করে তুলতে সঙ্গে
মজার মজার খাবার নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
সপ্তাহ শেষ, কি করা যায়?
২০. নিজের শহর থেকে বের হয়ে ঘুরে আসতে পারেন আশপাশের কোনো শহর বা গ্রামাঞ্চল।
২১. বেড়িয়ে আসতে পারেন আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবের বাসায়। ভিন্ন অঞ্চলের মানুষজনদের
সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। তারা যদি রাতে আপনাদের থাকার ব্যবস্থা
না করতে পারে সে ক্ষেত্রে নিজেদের থাকা আর সকালের ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা নিজেরাই
করুন।
২২. কোনো হেলথ কাবে নিজেদের পুরো সময়টা ব্যয় করতে পারেন।
২৩. আপনাদের বাসার যে কোনো একটি রুম বেছে নিয়ে সেটিকে ঢেলে সাজাতে পারেন।
২৪. পুরো বাসাটাকে একেবারে ঝেড়েপুছে ফেলুন কিংবা বাগানটিকে নতুন কোনো শেপ দিতে
পারেন।
বাচ্চারা এখন বিছানায়... তো?
২৫. খেলাধুলা করতে পারেন, হতে পারে সেটা ক্যারম, কমপিউটার গেমস, কার্ডের গেমস বা
কোন দুষ্টুমি খেলা...
২৬. মাথা খাটানোর কাজে সময় কাটাতে পারেন, জিগস পাজল, ক্রস ওয়ার্ড বা কুইজ বুক।
আপনাদের আইকিউর ধারটা কার কেমন সেটা পরখ করে দেখুন।
২৭. নিজেদের মধ্যে কিছুটা বাড়তি প্রশ্রয় দিতে পারেন, আপনার পার্টনারকে হালকা মাসাজ,
ম্যানিকিউর বা প্যাডিকিউর দিন। আমাদের সবারই কিছু সময় বাড়তি প্রশ্রয়ের দরকার হয়।
২৮. আপনাদের রুচির সঙ্গে ম্যাচ করে কোনো ফিল্ম ভাড়া করে আনতে পারেন, হতে পারে সেটা
কমেডি, কান্নাকাটি, রোমান্টিক বা হরর মুভি।
২৯. তারা গুনতে থাকুন। বাগানে বা ছাদে শুয়ে পড়–ন, দেখুন নক্ষত্র রাজিকে চিনতে পারেন
কি না।
৩০. ইচ্ছামতো খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।
৩১. দুজনে মিলে রোমান্টিক একটা ডিনার উপভোগ করতে পারেন, মোমবাতিগুলো জ্বালান, হালকা
মিউজিক ছেড়ে দিন, দামি ক্রোকারিজ বের করে ফেলুন। হাজার হোক সময়টাকে ভোগ করার একটা
অজুহাত চাচ্ছেন আপনারা।
৩২. বাগানে বা ছাদে বসেই পিকনিক সারতে পারেন।
৩৩. সোফা বা ইজি চেয়ারগুলোকে টেনে বাইরে আনুন। দুই কাপ হট চকোলেট নিয়ে আরাম করে সময়
কাটান দুজনে।
৩৪. দুজনে মিলে একই বই বা গল্প পড়–ন, এরপর বইটি সম্পর্কে দুজনের নোট তুলনা করতে
পারেন।
৩৫. পুরনো ফটো অ্যালবামগুলো নিয়ে বসুন। রাতটা উপভোগ করতে পারেন নস্টালজিয়ায়
আক্রান্ত হয়ে। বা এর সঙ্গে নিজেদের আরো সম্পৃক্ত হতে চাইলে আপনাদের
পোরট্রেইটগুলোকেই বেছে নেন না কেন?
৩৬. দুজন মিলে নতুন কোনো রেসিপি তৈরির চেষ্টা করতে পারেন। জিভের গোড়ায় থাই, ইনডিয়ান,
চায়নিজ যেটাই চান তার একটা স্বাদ দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
৩৭. দুজনে মিলে ল্যাঙ্গুয়েজ প্র্যাকটিস করতে পারেন। বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ যে কোনো
ভাষাই হতে পারে সেটা।
৩৮. ইন্টারনেটে শপিং করতে পারেন। আর এটা দিয়ে দুজনেই কিন্তু পারেন দুজনকে সারপ্রাইজ
দিতে। অনলাইনে জিনিসটা কিনুন তারপর অপেক্ষা করুন সেটা পৌছানোর জন্য।
৩৯. দুজন মিলে একটা কবিতা বা গল্প লিখতে পারেন, নিজেদের মধ্যে সুরের মুর্ছনা অনুভব
করলে লিখে ফেলতে পারেন একটা গানও।
বিকেলটা বাইরে কাটাতে চাইছেন?
৪০. থিয়েটারে চলে যান।
৪১. কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করুন। যেতে পারেন জিমে কিংবা সুইমিংপুলে সাতার কাটতে অথবা
ব্যাডমিন্টন বা স্কোয়াশ খেলতে পারেন।
৪২. আজকাল আশপাশে অনেক বোলিং কাব হয়েছে। যোগ দিতে পারেন আপনাদের কাছাকাছি কোনো বোলিং
কাবে।
৪৩. শহরের কোথাও কনসার্ট হচ্ছে কি? কিংবা গজলের আসর? ভিন্নধারা কিছু উপভোগ করতে
বেরিয়ে পড়ুন দুজনে।
৪৪. আলসেমিতে ভরা একটা ডিনার সারতে পারেন। এটা হতে পারে কম দামি ও আনন্দদায়ক কিংবা
গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে। বাধাহীন কথোপকথনের এ সুযোগ উপভোগ করুন।
৪৫. চলে যান সিনেমা হলে। পেছনের সারির সিট দখল করে সাম্প্রতিক কোনো ব্লক বাস্টার
মুভি উপভোগ করুন। দেখুন আপনার এলাকায় কি মুভি চলছে।
হাতে সময় মাত্র এক ঘণ্টা?
৪৬. কথার বদলে বালিশ দিয়েই একটা ফাইট হয়ে যাক। আরো ভালোবাসার জন্য কাতর হয়ে পড়েছে
মন? নিজেদের মধ্যে খানিকটা ভালোবাসার স্পর্শ হলে মন্দ কি?
৪৭. সাবানের ফেনায় ভরপুর একটা গোসল সেরে ফেলুন।
৪৮. সকালের নাশতা হোক আর যা-ই হোক, বিছানাতেই সেটা সেরে ফেলুন।
৪৯. হাতে যখন সময় কম, তাহলে প্ল্যান করে ফেলুন, পুরো বিকালটা যখন পাবেন নিজেদের
হাতের মুঠোয় কি করবেন।
৫০. আপনাদের পারিবারিক বংশতালিকা নিয়ে গবেষণা শুরু করতে পারেন, এরপর ঘণ্টা খানেক
সময় হাতে পেলেই তাতে নতুন করে কিছু আইটেম যোগ করুন।
৫১. একটা কেক বা এমন কিছু তৈরি করুন যা দুজন মিলে একসঙ্গে খেতে ভালো লাগবে।
৫২. কোন ফিটনেস ভিডিও চালিয়ে দিয়ে দুজনে অ্যারোবিকস, পাইলেটস বা যোগব্যায়াম
প্র্যাকটিস করতে পারেন।
৫৩. অনলাইন কুইজ সেরে ফেলতে পারেন এক ঘণ্টায়।
রোমান্টিকতার কিছু ধরণ :
৫৪. বলুন, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ।
৫৫. একবার আলিঙ্গনে বাধুন নিজেদের।
৫৬. ভালোবাসার একটা নোট ছেড়ে যেতে পারেন ব্রিফকেসের ওপর বা টিভি স্ক্রিনে। কিংবা
রেডিওতে লাভসং রিকোয়েস্ট করতে পারেন।
৫৭. একটি চুমো দিতে পারেন বা ভয়ঙ্কর রকমের প্রণয়-চাপল্যও প্রকাশ করতে পারেন।
৫৮. ফুল দিন।
৫৯. যোগাযোগ রাখুন। যখন দুজনে আলাদা আছেন মেসেজ, ই-মেইল কিংবা ফোনে তার খবর নিন।
৬০. লিপস্টিক দিয়ে আয়না বা অন্ধকারে ভেসে থাকে এমন চক দিয়ে দেয়ালে লিখতে পারেন 'আই
লাভ ইউ'।